রাশিয়ায় উৎপাদন জটিলাতা এবং তুলনামূলক কম দামের কারণে উত্তর কোরিয়া ও ইরান থেকে বেশ কয়েক ধরনের সমরাস্ত্র কিনে ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে আসছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ইরানি ড্রোন দিয়ে ব্যাপক সফলতা পাওয়ার পর একই পদ্ধতিতে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে কিছু ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছিল রাশিয়া।

কিন্তু ব্যবহারের পর দেখা যায় ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে মাত্র ২টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে।
তাই এইবার উত্তর কোরিয়াকে বাদ দিয়ে ইরানি ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনছে রাশিয়া।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইরানের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ইরান একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ এবং অন্য যে কোনো দেশে আমরা অস্ত্র রপ্তানি করতেই পারি। সামনের সপ্তাহগুলোতে আমরা রাশিয়ায় আরও চালান পাঠাব। এটা আর গোপন রাখার কোনো কারণ নেই।

রয়টার্স এর প্রতিবেদন থেকে জানাযায়, এ পর্যন্ত রাশিয়ায় প্রায় ৪০০ ‘জুলফিকার’ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে ইরান। ফাতেহ-১১০ সিরিজের এই ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সর্বোচ্চ ৭০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে মস্কো সফর করেছিল ইরানের একটি প্রতিনিধি দল, পরে মস্কোর একটি প্রতিনিধি দলও তেহরান সফরে আসে। সে সময়ই এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।

সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, এ পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্রের চারটি চালান রাশিয়ায় পাঠিয়েছে ইরান। তার মধ্যে দু’টি চালান পাঠানো হয়েছে কাস্পিয়ান সাগরপথে এবং দু’টি বিমানে।

‘জুলফিকার’ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কার্যকারিতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংস্থা মিডলবেরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের গবেষক ও অস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইজ রয়টার্সকে বলেন, বর্তমানে বিশ্বে যত স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়া যায়, তার মধ্যে মানের বিচারে অন্যতম ভাল একটি ক্ষেপণাস্ত্র জুলফিকার। লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানার জন্য খ্যাতি রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটির।